Wednesday, November 15, 2006

মিশন ইম্পসিবল

গত রোববার একটি ফিলিম দেখলুম। মিশন ইম্পসিবল Part III।
সে ভারি ধুমধাড়াক্কা। ঠাস-ঠাস দ্রুম-দ্রাম। বেজায় হলিউডি সব ছোট-বড়-মাঝারি ধানি ও কালি পটকা।
হাইটেক ও স্পেশাল এফেক্টের অনেক পাকাপাকা কতবেল
ইদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়লো,
তার'ই মাঝে দেখা দিলেন বেয়াড়া ভিলেন, CIA নাকি গবরমেন্টের-ই রাক্ষস-খোক্কস ঠিক জানিনা,

তবে সবচে সাবাশ-ই দেখাল মুখোশের খেল্‌।

খরগোশের পা নামক কি না কি একটা জিনিষ নিয়ে শুরু হল খিটমিট আর ঝাড়পিট,
বালিঘড়ির মত দেখতে কিন্তু ভারি দূর্মূল্য ও ডেনজারাস,
এই আকাট মগজে এর চে বেশী আর কিছু ঢুকলো না।
মাথার মধ্যে অপারেশান করে ভিলেন টাইম বোমা রেখে দিলো, তারপর সময় হলে কেমন রিমোট টিপে ফাটিয়ে ফাটিয়ে ভাল ভাল লোকগুলোকে ব্রেনব্লাস্ট করিয়ে মাল্লে। Cerebral বিস্ফোরণ হল। আমার-ও। কেমন
হিমশীতল হিংস্রতায়।
একটু মায়াদয়া নেই কো!
ওদিকে ক্রুজ বাবাজী আবার সাংহাই-এর গগনচুম্বী থেকে প্রেমের লাগিয়া হনুমানের মত এক রামলাফে গেলেন প্রিয়া উদ্ধারে, তার ক্যাদরানি দেকে মমচিত্ত ছানাবড়া।
বুজলুম যে মুখোশের আড়ালে যে মুখ তাই আসলে মুখোশ, মুখোশ-টা আসলে মুকোশ নয় গো দাদা, মুকেরই extension.
এই গোলেমালে মনের গভীরে একটা শিরশিরানি দার্শনিক ভাব দেখা দিলো।

তাড়াতাড়ি একটা dark চকোলেট নিয়ে এসে জিভে দিয়ে সোফায় বসতে - একটু যা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললুম।

সে যা হোক, তারপর চীনা শহরে এক বিশ্বনাথের গলিতে-ঘুঁজিতে কারা যেন ক্লাইম্যাক্সে গুলি-টুলি আর দোদোমা ফাটালো।
আর philip seymour hoffman এর মত ভিলেন-ও টমির হাতে পড়ে শেষে কিনা পাতি লরির ধাক্কায় পটল তুললো।
কিন্তু কি নিয়ে যে আড়াই ঘন্টার মারমার-কাট্‌কাট্‌ chase-টা হল সেটা শেষ অবধি অধরা রহস্যই।
শেষমেষ কপালগুণে জানতে পারলুম যে - IMF-এর অর্থ ।
Impossible Mission Fund.

বেড়ে আমোদ হল।